আকাশে কথা ভাসে: প্রসঙ্গ টকশো
বাংলাদেশে টিভি টকশো বেশ জনপ্রিয় বিনোদন ও তথ্যমূলক অনুষ্ঠান। আগে মানুষ খবর দেখেই তৃপ্ত থাকতো, টকশো সেখানে নতুন সংযোজন মাত্র। টকশো মানুষের মধ্যে খবরের ক্ষুধা বাড়িয়েছে, নিজের চিন্তার সাথে অপরের চিন্তা মিলিয়ে দেখার ও অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দিয়েছে।
গণমাধ্যমের গণমুখী চরিত্র টকশোতে স্পষ্ট। কিন্তু বিষয়টা সর্বাংশে সত্যি কিনা এবং এ ধরণের অনুষ্ঠান যে উদ্দেশ্যে প্রচারিত হয় তা আদৌ কতটা ফলপ্রসু,বিতর্ক আছে। বাঙালি কথাপ্রিয় জাতি। চায়ের দোকানেএখানে গরম পানির আদলে কথা ফুটতে থাকে,ধারাবাহিকভাবে জমে ওঠে মুহুর্মুহু আড্ডা। মফস্বলে রাজনীতি নিয়ে তর্কাতর্কি করে কত চায়ের দোকান যে ভাংচুর হয়েছে,ইয়ত্তা নেই।
পশ্চিম বাংলার কফি হাউস কথাপ্রেমীদের প্রতিভার স্বাক্ষর হয়ে আছে মান্না দের কণ্ঠেও। কথা, আকথা আর কুকথার রীতিমত অনুশীলন হয় এ বাংলায়।কিন্তু কাজ হয় কতটুকু।তাই কবি বলেন,আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে,কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে!
একই প্রশ্ন এখন সবার মুখে। টকশোও ব্যতিক্রম নয় । হাজার কথা হয়,বলি যে জনতার জয়,কিন্তু কতটুকু! আবার রাজনীতি আর অর্থনীতির প্রতিফলনই তো সংস্কৃতি।কিন্তু আমরা মুখে যা বলি সেমতে কি অনুশীলন করি?
যাদের জন্য বলি সেই জনগণের ভাষায় ঠিকমতো কথা বলতে পারি তো! জনগণের ভাষাও কি সবসময় ঠিক হয় কি না ইত্যাদি বহুবিধ বিষয় নানামুখী মাত্রায় এখন আলোচনা হচ্ছে।
তাই টকশো বিষয়টা একদিকে যেমন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে.তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে । আমরা সে আলোকে সমাজচিন্তার প্রচলিত আলোচনার একটু পোস্টমর্টেম করে বিষয়টার অন্দরমহলে বিচরণ করতে চেষ্টা করবো এবং যেহেতু রাজনীতিই আমাদের টকশোর মূল প্রতিপাদ্য তাই প্রাসঙ্গিক রাজনীতির আচরণগত দিক বিবেচনায় নিয়েই টিভি মাধ্যমের গভীরতম প্রদেশে জনগণের গণতন্ত্র অভিমুখীনতার সবল ও দুর্বল দিকসমূহ খুঁজতে খুঁজতে তলানীতে পৌঁছবার চেষ্টাটুকু করবো।
বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হওয়ার শর্তে কিছু ক্ষেত্রে আইনের আলোকে যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে চিন্তা, বিবেক, ভাব ও বাক স্বাধীনতার পূর্ণ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকাশে স্বাধীনভাবে কথা বলারও বিকল্প নেই। টিভি টকশো জনগণকে সমসাময়িক স্থানীয় ও জাতীয় রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুগুলোর বিষয়ে জানান দেয়,বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মতামত ও বিতর্কের আলোকে স্পষ্ট,সুচারু ও সহজে বিষয়গুলো নাগরিকদের বোধগম্য করে তাদেরকে অধিকার সচেতন করে তোলে,বলা হয়।
সজাগ জনগণ রাষ্ট্রের সকল বিষয়ে চোখ তুলে তাকায় এবং প্রকারান্তে রাষ্ট্রের আইন ও নির্বাহী বিভাগ জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে আরও অগ্রগামী হয়।রাজনৈতিক কুশীলব,সুশীল সমাজ ও জনগণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান বিষয়সমূহের পক্ষপাত ও নিরপেক্ষ উপস্থাপনার মাধ্যমে গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণতন্ত্রকে অনেক সম্ভাবনাময় ও সর্মৃদ্ধ করার প্রচেষ্টায় বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখে,অনেকেই বিশ্বাস করেন ।
সামাজিক অবস্থানের সাথে নিজেকে বিচ্ছিন্ন না করে চিন্তার উপযোগীতা যাচাই করার জন্যও টকশো নিজেই একটা বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।গণতন্ত্রের মূল কথা হলো জনগণ এর শাসক,তারাই দেশ চালাবে। শুধু রাজনীতিকরাই দেশ চালাবেন এমন নয়।বলা হয়ে থাকে.আমি হয়ত কবি নই,কিন্তু আমার কবি মন আছে।জনগণ হয়ত ভোটে সবাই দাঁড়ায় না,কিন্তু ভোট কিন্তু দেয়।তাই তার কথা শুনবার প্লাটফর্ম যে টকশো,এটা অনস্বীকার্য।
যে কারণে সংবাদ ও টকশো এত্ত জনপ্রিয় হয়ে গেছে,জনগণও স্বপ্ন দেখতে শিখে গেছে। গণতন্ত্রে জনগণই সব,ট্যালেন্ট হান্ট করে গণতন্ত্র প্রতীষ্ঠা করা যায় না। গণতন্ত্রে রুপবানের গান যতটা চলে,পথের পাঁচালী ততটা নয়। কাজেই ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হলেও ব্যবস্থার সাথেই থাকতে হয়। অনেকেই আছেন,উন্নত মেধা ও চিন্তার অধিকারী অথচ সামাজিকভাবে বিভিন্ন কারণেই গ্রহণযোগ্য নন।তারাও কিন্তু এখানে মতামত রাখতে পারেন এবং রাখেন। তাই টকশো আমাদের জন্য নিদেনপক্ষে এরকম একটা আশার জায়গা অন্তত তৈরি করেছে।
দীর্ঘদিন থেকে সংসদে না গিয়ে দেশে বিরোধী দলের সাংসদগণ সংসদ সদস্য হিসেবে আত্মপরিচয় প্রদান করেন।এক দলীয় সংসদ,এটাও সময় ও সরকার নির্বিশেষে গণতন্ত্রের নির্জীব সংস্কৃতি,বাংলাদেশে অনেকদিন থেকে বহমান। যারা সংসদে যান না,এলাকায়ও না,তারাও কিন্তু টিভি টকশোতে আসেন,আসতে দেখা যায়।টিভিতে প্রাইম টাইমের ধারণা রাত বারোটার টকশো ভেঙ্গে দিয়েছে,কাজেই জনপ্রিয়তা নিয়ে অযথা বিতর্কেও আর অবকাশ নেই।রাতভর সেখানে কথা কাটাকাটি চলে,কেউ কেউ আক্ষরিক অর্থেই আহতও হন।অনেকে বলেন,রাজপথের রাজনীতি টিভি বক্সে চলে এসেছে।
দেশের বহু অচেনা রাজনীতিক এভাবে জাতীয় ব্যক্তিত্বও হয়ে উঠেছেন।সিনেমার তারকাদের আগে যে জনপ্রিয়তা ছিলো,টকশো অনেক রাজনীতিককে সেই তারকা খ্যাতি দিয়েছে ।বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ও আলোচনায় চলে এসেছে।পাটের জেনোম সিকোয়েন্স বা বায়েমেডিসিন এখন সাধারণ মানুষও বুঝতে পারে।ক এর নরম গালে জুতা মারো তালে তালে,এরকম অশ্লীল ও অশোভন ভাষার বদলে রাজনৈতিকদের ভাষা পরিবর্তনে টকশোর অবদান আছে।
মহান জাতীয় সংসদে চুদুরবুদুর ভাষা চললেও,গণমাধ্যমে এর প্রচলন নেই।তৃণমূলের জনগণ টেলিফোনে নিজের প্রশ্ন ও মতামত বিনিময়ের অপূর্ব সুযোগ লাভ করেছে এই টকশোর বদৌলতেই।
কিন্তু মানুষের অবাধ সুযোগ থাকার পরও কথা থেকে যায় যে টকশো আমাদের জন্য কি ফলাফল বয়ে এনেছে।হয়ত একটা প্লাটফর্ম সৃষ্টি করেছে কিন্তু তাতে কি জবাবদিহিতা ও পরমতসহিষ্ঞু বেড়েছে বা পুরো বিষয়টার কোনও সমাধান কি এসেছে?। আবার আকাশ হয়ত মুক্ত হয়েছে,কিন্তু মাটিও তো কমে গেছে।
চাইলেই কি সরকারী আমল নির্বিশেষে পল্টনে বা মুক্তাঙ্গনে মিছিল মিটিং করা যায়,অনুমতি মিলে? বিরোধীতার জায়গা যদি ছোট হয়ে আসে,ঝগড়া বাধিয়ে সঞ্চালক যদি চুপ করে বসে থাকেন,দর্শক হয়ত সেই ঝগড়া উপভোগ করলেও করতে পারেন ,পরিপূর্ণ কোন দিক নির্দেশনা কি সেখান থেকে পাওয়া যায়? গুরুগম্ভীর টকশো যেমন কারও পছন্দ নয়,ঝগড়া ঝাঁটিও কারও কাম্য হতে পারে না।
সংসদ সদস্য সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া বা নাজমা আক্তার টকশোতে যে ভাষায় কথা বলেন,সংসদে এর চেয়েও অশোভন ভাষায় কথা বলেন,অভিযোগ আছে।যদিও তারা দুজনের কেউই নিজ নিজ রাজনৈতিক দলের ভাষার মানদন্ড হিসেবে সমাজে স্বীকৃত নন।
সমালোচনা আছে,নীতি নির্ধারনী আলোচনায় প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা থাকলে জনমুখী নীতি কিভাবে আসেবে?আমলা নির্ভর সেমিনারে জনপ্রতিনিধি না থাকলে কিভাবে সেটার বাস্তবায়ন হবে। রিক্সাচালক খবিরও কমিশনার নির্বাচিত হতে পারেন,তাই সেখানে জনগনের ভাষায় কথা হবে,জনঅংশগ্রহণ থাকবে,মিথস্ক্রিয়া হবে।তাহলেই জনগণ ক্ষমতায়িত হবেন।আইন ও নির্বাহী বিভাগ জবাবদিহিতার আওতায় আসবে। ক্ষমতাহীন মানুষ যখন দেখে টকশোতে তার মনের কথাই বলা হয়,তাকে নিয়েই কথা হয়,সে ভাবে আমার মনের কথা হচ্ছে..সে রাত জেগে টকশো দেখে।
টক শো যে টক নাকি অম্ল ,সেখান থেকে অম্লমধুর কিছু নতুন আলোর সূত্রপাত হবে। এজন্য বিষয়ভিত্তিক আলোচনা হতে পারে।টকশোতে তাই লিডিং কোয়েশ্চেন ঠিক হওয়া উচিত,অপমানকর কোনও কিছু যেন না থাকে।বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলোচকগণ সত্যকে এড়িয়ে যান,মিথ্যাকে জোর করে সত্য হিসেবে প্রচার করেন,মানুষ বিভ্রান্ত হয়।
দুই দলের বাইরে সুশীল সমাজ আছেন,নিরপেক্ষতার আদলে জনগণকে তারাও বিভক্ত করছেন,এমন অভিযোগও আছে।এসবক্ষেত্রেও আবার জবাবদিহিতা নেই,নেই স্বচ্ছতা। আবার টকশোতে এসে রাজনীতিকগণ যে কথা বলেন,পর্দার নামার আগে ও পরে এরাই আনন্দ চিত্তে বলেন ঠিক উল্টো বা ভিন্ন কথা। নেত্রী বা ম্যাডামের মন রক্ষার জন্য কথা বলেন,এগুলো নাকি তাদের মনের কথা নয়।দুই দলের নেত্রী বা মুখপত্রের বাইরে কিছু বলার জো নেই। যদি এরকম হয়ও তাহলে দুই দলের নেত্রীকেও আনা যায়,মুখোমুখি বসানোর চেষ্টা করা যায়।
টকশো নিজেই অবশ্য একটা আলাদা বা বিকল্প পার্লামেন্ট হিসেবে দাঁড়াতে পারে।এমন রাজনীতিকও কিন্তু দেশে আছেন,অত্যন্ত বিচক্ষণ এবং বিদগ্ধ কিন্তু নানা বাস্তব কারণে যাদের ভোটে দাঁড়িয়ে নির্বাচিত হওয়ার কোনও সুযোগ নাই। তারাও কিন্তু এখানে কথা বলতে পারেন।গণমাধ্যমের মাধ্যমে টকশোর তাই একটা নিজস্ব উপযোগীতা তৈরি হয়েছে।বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে নানা মাত্রায় নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের বিকাশের মাধ্যমে টকশো আজ বহুমুখী চরিত্র ধারণ করেছে।
কিন্তু সুশীলদের মূল আলোচনা আওয়ামীলীগ বা বিএনপি ভালো বা ভালো নয়-এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ।দুই পরিবারকে, ভালোবাসি অথবা ভালোবাসি না। একদিকে পরিবারতন্ত্রের বিরোধীতা করি,অন্যদিকে রাহুল বা প্রিয়াংকা গান্ধীর প্রশংসা করি ।নিজ নিজ অংক মিলিয়ে তারেক রহমান বা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বন্দনা করি অথবা গীবত গাই। কোনও বিকল্প ভাবনা নাই,দিতে পারি নাই।সেজন্য সুশীলদেরও দৃঢ় কোনও চরিত্র দাঁড়িয়েছে,বলা যাবে না।
টকশো পারসনেরও কোনও দায়বদ্ধতা নেই,টকশোর তাই কোনও ইমপ্যাক্টও চোখে পড়ে না। প্রজাতন্ত্রে প্রজাদের অধিকার কতটুকু প্রতিষ্ঠিত হয়েছে,পরিসংখ্যানও নাই। আগে ক্ষমতা দখল করার প্রথমেই টিভি বা রেডিও সেন্টার অবরুদ্ধ হতো,এখন আর এটা সম্ভব নয়।আমাদের দেশে আগে হাঁটে গরম কথা হতো এখন হয় টিভি ঘাটে কিন্তু নীতি নির্ধারণ হয় আমলাদের হাতে। কোরিয়াতে পলিসি মেকিং প্রতিষ্ঠান আছে, আমাদের এখানে সংসদ চুপচাপ বসে আছে।
বিরোধী দল বলতে কিছু আছে,টিভি না দেখলে বোঝা যায় না। সংসদ বসে থাকলে গণতন্ত্র কোথায়? মুক্ত চিন্তা ও মুক্ত আলোচনার ক্ষেত্র প্রতিষ্ঠিত না হলে সত্যিকার গণতন্ত্র তো সুদূরপরাহত। অথচ আমাদের বহুদূর যেতে হবে।কিন্তু কি নিয়ে যাবো?আমাদের এতদিনের অর্জন কী? এরকম তরূণপ্রধান জনগণ নিয়ে দেশ তো হু হু দৌড়ানোর কথা! এরকম অবস্থায় হাল দরতে পারে গনমাধ্যম। গণমাধ্যম সরকারের ভিত নাড়িয়ে দিতে পারে,পারে সুদৃঢ় করতে।নির্বাহী, বিচার ও সংসদের চাইতেও গণমাধ্যম তাই অনেক বেশি শক্তি শালী ও কার্যকর।
কিন্তু কারা মিডিয়া চালাচ্ছে,কারা মিডিয়ার মালিক বনছে এগুলোও ভাবনার বিষয় বৈকি।সে কারণে টকশোতে ফরওয়ার্ড লুকিং আলোচনার অভাব প্রকট॥ চাইলে কি আমরা গ্রামীণফোনের সেবা নিয়ে কোনও টকশো করতে পারবো ?বলা হয়ে থাকে ক্যামেরার বাইরে রাজনীতিকদের যে আলোচনা হয় দুই নেত্রী তা শুনতে পারলে বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি ভিন্ন হলেও হতে পারতো। সমাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মানসিকতা প্রতিষ্ঠায় অনেকাংশেই সফল হয়েছে বাংলাদেশেশের রাজনৈতিক টকশো।মন্ত্রী হওয়ার পর তাই ভয়ে বা অন্য কোনও কারণে সহজে আর টকশো তে অনেকেই আসেন না,অভিযোগ আছে।
বলা হয়ে থাকে,পদ্মাসেতু প্রসঙ্গে গনমাধ্যমের চাপে উপদেষ্টা মশিউর রহমানের হার্টে সমস্যা দেখা দিয়েছিলো।গনমাধ্যমের এই যে শক্তি এটাকে গঠনমূলক কাজে লাগাতে হবে। প্রবাসী বাঙ্গালীদের কাছেও টকশো অনেক জনপ্রিয়। অনুসন্ধানী সংবাদ বা অন্য কোনও মাধ্যমে টকশোর কার্যকারিতা যাচাই করতে গবেষণা হতে পারে। টকশোর মাধ্যমে ছোট ছোট পরিবর্তন সূচিত হতে পারে- জনগণ সংযুক্ত ও গতিশীল থাকতে পারে সবসময়। অধিকার বিষয়ে অধিকতর সচেতন জনগণ গণতন্ত্রের সেই সম্ভাবনাকে স্বাগত জানাতেও অনন্য বৈশিষ্টমন্ডিত টকশোগুলোর দিকেই চোখ মেলে আছেন!
সম্পর্কের দূরত্ব ঘুচিয়ে রাজনীতির ময়দানে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় বহুমতের প্রতিফলন ঘটিয়ে টকশো এর স্বাদ, টক ঝালের পর মিষ্টি হতেই বা কতক্ষন ? গণতন্ত্র গবেষকগণই ঠিক ঠিক বলতে পারবেন !
রাজীব মীর
শিক্ষক
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়